দোসর ২০০৬ সালে নির্মিত বাংলা ভাষায় নির্মিত ভারতীয় চলচ্চিত্র। এটি প্রযোজনা করেন অরিন্দম চৌধুরী (প্লানমান মোশন পিকচারস) এবং পরিচালনা করেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। এই সাদাকালো চলচ্চিত্রটিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার -বিশেষ জুরি পুরস্কার/ লাভ করে। এই ছবির অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মা ২০০৭ সালে নিউইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করে। এই চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালে ৬০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
সোনার কেল্লা সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় নির্মিত একটি রহস্য রোমাঞ্চ চলচ্চিত্র । সত্যজিৎ রায় নিজের কাহিনী নিয়েই চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছিলেন । তিনি সোনার কেল্লা উপন্যাসটি রচনা করেন ১৯৭১ সালে । সোনার কেল্লা মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছিল রাজস্থানে। ফেলুদার সোনার কেল্লা উপন্যাস ও সিনেমার পিছনে ছিলো এই রোমাঞ্চকর বাস্তব। সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতেও জাতিস্মর মুকুলের আড়ালে লুকিয়ে ছিল প্রভু নামের রাজস্থানের এক ছেলে, আর প্যারাসাইকোলজিস্ট ড. হেমাঙ্গ হাজরার মধ্যে ধরা পড়েছিল জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি।
গুপী গাইন বাঘা বাইন হলো বাংলা ভাষার প্রথম সুপারহিরো চলচ্চিত্র, যা বিশ্ববিশ্রুত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় দ্বারা পরিচালিত। ছবিটি ১৯৬৯ সালের ৮ই মে মুক্তি পায় এবং বাংলা ভাষার প্রথম সুপারহিরো চলচ্চিত্র হওয়ার গৌরব ধারণ করে এবং বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক তৈরি করে। প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত একই নামের একটি রূপকথা অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। সত্যজিৎ-পত্নী বিজয়া রায়ের স্মৃতিচারণা ‘আমাদের কথা’ থেকে জানা যায়, শিশুপুত্র সন্দীপ রায়ের অনুরোধে তিনি এই ছবিটি নির্মাণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গল্পকার উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন সত্যজিতেরই পিতামহ। পরিচালকের বহু অন্যান্য ছবির মতো এখানেও তিনি স্বয়ং চিত্রনাট্য রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ছবির সবকটি গান রচনা ও সুরারোপ তারই করা। ফিল্মটি দুই উচ্চাকাঙ্ক্ষী সঙ্গীতশিল্পী, গুপী এবং বাঘার যাত্রা অনুসরণ করে, যাদেরকে ভূতের রাজা তিনটি জাদুকরী বর প্রদান করেন।
চোখের বালি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি সামাজিক উপন্যাস। ১৯০১-০২ সালে নবপর্যায় বঙ্গদর্শন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১৯০৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের বিষয় "সমাজ ও যুগযুগান্তরাগত সংস্কারের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের বিরোধ"। আখ্যানভাগ সংসারের সর্বময় কর্ত্রী মা, এক অনভিজ্ঞা বালিকাবধূ, এক বাল্যবিধবা ও তার প্রতি আকৃষ্ট দুই পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ১৯০৪ সালে অমরেন্দ্রনাথ দত্ত এই উপন্যাসের নাট্যরূপ দেন। ১৯৩৮ সালে অ্যাসোসিয়েট পিকচার্সের প্রযোজনায় চোখের বালি অবলম্বনে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। ২০০৩ সালে বিশিষ্ট পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ এই উপন্যাস অবলম্বনে চোখের বালি নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। চোখের বালি ইংরেজি (২ বার), হিন্দি ও জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়।